পুঠিয়া রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে মাল্টা, কমলা ও পেয়ারার বাগান করেছেন হানিফ নামের এক উদ্যোক্তা। তার পুরো বাগানজুড়ে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে হলুদ রঙের মাল্টা ও কমলাগুলো।
যা এক দেখাতেই নজর কাড়ছে সবার। দুর দুরান্ন থেকে আসছে এক নজর দেখতে এই মাল্টার বাগান। দেখার পাশাপাশি ২’শ টাকা দরে বাগান থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে মাল্টা ও কমলার বাগান দেখে ২০১৯ সালে উদ্বুদ্ধ হন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া হানিফ। সেই দেখে তাদের কাছ থেকেই চারা সংগ্রহ করে পেয়ারা ও আম বাগানেই রোপন করেন মাল্টা ও কমলার চারা। বছর দুয়েক না জেতেই ধরা পড়ে হলুদ জাতের মাল্টা ও কমলা। শুরুর বছরে কম আসলেও এখন গাছ ভর্তি মাল্টা আর কমলা সোভা পাচ্ছে।
সফল এই উদ্দ্যোক্তা লেখাপড়া শেষ করে চাকুরির পিছনে না ছুটে বাবা আমেদুল মন্ডলের সাথে উদ্বুদ্ধ হয়ে হাল ধরেছেন আম, পেয়ারাসহ বিভিন্ন জাতের ফল চাষের প্রতি। এখন সেই পেয়ারা বাগানকে সাজিয়েছেন মাল্টা ও কমলা দিয়ে। কয়েক বছর ঘুরতেই বাজিমাত করেছেন তিনি।
এখন তিনি সফল উদ্যোক্তা। শলুয়া ইউনিয়নে মোট ১৬ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ৯ বিঘা জমিতে মাল্টার চাষ শুরু করেছিলেন হানিফ। প্রথমে ১.৫ ফুট উচ্চতার ২০০টি মালটা এবং কমলার চারা লাগিয়ে বাগান তৈরি করেন তিনি। চারাগুলো বিভিন্ন নার্সারী থেকে সংগ্রহ করে বাড়িছেন বাগানের পরিধি। এখন বাগানে রয়েছে ৪০০টির মতো মাল্টা ও কমলার গাছ।
তবে ফল ধরেছে ২০০টি বেশি গাছে। বাগান থেকেই পাইকারী এবং খুচরাভাবে বিক্রি করছেন এই উদ্যোক্তা। প্রতি কেজি মাল্টা ২০০ টাকা। আর এক মণ মাল্টা ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।
হানিফ জানান, গাছ রোপনের দুই বছর পর থেকে একটি গাছে কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ কেজি মাল্টা পাওয়া যায়। এবং তিন বছরের মাথায় প্রতিটি গাছে ৩৫ থেকে ৫০ কেজি মাল্টা পাওয়া যায়। এতে বিঘা প্রতি বছরে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা আয় হবে বলছেন এই উদ্যোক্তা।