রাজশাহীর ‘ভিভিআইপি’ সড়কে কিশোর গ্যাংয়ের তান্ডব!
শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) রাত্রি ৯টার দিকে দেশিয় অস্ত্র-রড় ও লাঠিসোটা নিয়ে ত্রাশ সৃষ্টি করেছে কিশোর গ্যাং। নগরীর ‘ভিভিআইপি’ ও সুরক্ষিত এলাকা বলে বিবেচিত সার্কিট হাউস রোডে দেশীয় অস্ত্র হাতে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ভ্রামমান দোকান ও অর্ধশত প্লাস্টিকের চেয়ার ভাংচুর করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। পদ্মা পাড়ের মনোরম এই স্থানটি বিনোদনের জন্য বেশ সুপরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য মতে, একটি চটপটি ও ফুসকার দোকানের স্থান ও ক্রেতাকে কেন্দ্র করে উভয় দোকানির মধ্যে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। এক পর্যায়ে শ্রীরামপুর এলাকার ত্রিশ-চল্লিশজন কিশোর দরগাপাড়া এলাকার দুই কিশোরকে মারধর করে। তার কিছুক্ষণ পরেই দরগাপাড়া ও পাঠানপাড়ার প্রায় চল্লিশ পঞ্চাশজন কিশোররা একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে শিশু একাডেমীর সামনে এসে শ্রীরামপুর এলাকার কিশোরদের খুজতে থাকে। প্রথমবস্থায় কাউকে না পেয়ে শ্রীরামপুর এলাকার রাতুল নামের এক ফুসকা বিক্রেতার দোকান ও শিমুলের দোকান ভাংচুর করে। কিশোর গ্যাংয়ের হুংকার আর দৌড়ঝাপে প্রায় চল্লিশ মিনিট স্থানটিতে বিরাজ করেছে ভয়ঙ্কর রূপ বলে মন্তব্য দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ীদের। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সেখানে তান্ডব চালানোবস্থায় শ্রীরামপুর এলাকার দুজনকে হাতের কাছে পেয়ে বেধরক মারধর করে বলে জানান স্থানীয়রা। ঐ সড়কে রয়েছে রাজশাহী বিভাগের সর্বোচ্চ উদ্ধতন কর্মকর্তাদের প্রায় দশ-পনেরটি বাংলো। এছাড়াও রয়েছে সার্কিট হাউস, শিশু একাডেমি, রিভারভিউ স্কুলসহ একাধীক বিনোদনকেন্দ্র।
উল্লেখ্য, সিএন্ডবি মোড় থেকে সার্কিট হাউস হয়ে পদ্মা নদীর পার পর্যন্ত রাস্তার দুইধার ও পদ্মানদীর বাধের উপরে অস্থায়ী দোকান বসানো কে কেন্দ্র করে প্রায়শই সেখানে ঘটে বিশৃঙ্খলা। যার কারনে, স্থানটিকে সুরক্ষিত ও কোলাহলমুক্ত রাখতে ডিসেম্বর মাসে কর্তৃপক্ষ সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। কিন্ত উচ্ছেদের কয়েকদিন পরেই আবারো স্থানগুলো দখলে চলে যায়।