বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

বড়দিন মানেই যেন স্বর্গীয় শান্তির নববারতা: বিশপ জের্ভাস রোজারিও

অনলাইন ডেক্স / ১৯ দেখেছেন:
আপডেট : বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

দেশ ও জাতির সুখ এবং সমৃদ্ধি কামনার মধ্যে দিয়ে বড়দিন উদযাপিত হয়েছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে।

এ দিন সকাল ৭টায় ও ৯টায় শীত মাঝে এলো বড় দিন, এলো বুঝি ঐ ফিরে গানের সুরে সুরে রাজশাহীর উত্তম মেষ পালক ক্যাথিড্রাল গির্জায় বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ খ্রীষ্টযাগ হয়। বড়দিন উপলক্ষে রাজশাহীর খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বেথলেহেমের সেই আবহ সৃষ্টি করতে তাদের বাড়িতে তৈরি করেছেন প্রতীকী গোশালা।

রাজশাহীতে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শুভ বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে মহানগরের গির্জাগুলোতে নানান আনুষ্ঠানিকতা বিশেষ প্রার্থনার অনুষ্ঠিত হয়। সকালে দুই পর্বে সাতটা ও ৯টায় দেশের মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী মহানগরীর বাগানপাড়া এলাকায় অবস্থিত রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জায় প্রার্থনা হয়। গির্জার প্রবেশমুখ থেকে নানান রঙের আল্পনা করা হয়েছে। সুসজ্জিত ক্রিসমাস ট্রিও আলোকসজ্জা করা হয়েছে। যিশুর জন্মের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কৃত্রিম গোশালায়।

বড়দিন মানেই অনাবিল শান্তি, বড়দিন মানে সকলকে নিয়ে বড় হবো। যেখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। আমাদের কথা কাজ ও আচরণে যেন তার সব কিছু প্রকাশ পায় বলে জানান ভিকার জেনারেল ফাদার ফবিয়ান মারান্ডি।

গির্জায় এসে খুবই আনন্দিত ও পরিবার নিয়ে একসাথে এবারের বড়দিনের যে তাৎপর্য সেটি পালন করতে পারছে বলে জানান খ্রীষ্ট বিশ্বাসী শেলী বিশ্বাস।

আরেকজন খ্রীষ্টভক্ত প্রশান্ত মিনজ বলেন, আমার কাছে বড়দিন মনে প্রেম, ভালোবাসা, শান্তি ও সম্প্রীতি। একই বাড়ে গেট টুগেদারের মত। কারন সারা বছর নানা কাজে বাইরে থাকি। তবে বড়দিন আসলে আমরা নিজ বাসায় আসি ও এই সময় বন্ধ বান্ধবী, আত্মীয়স্বজন সকলে একজায়গায় পাই। সত্যি এটি আনন্দের একটি বিষয়।

এবারের বড়দিনকে নিয়ে রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের বিশপ জের্ভার রোজারিও বলেন, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবার ২৬টি এবং মহানগরীতে ৩টি চার্চে বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। এবারের দেশবাসীর জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। রোগমুক্ত থেকে দেশের সকল মানুষ যেন ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নতি করতে পারে ও মানুষের মঙ্গল করতে পারে এবং দেশের মধ্যে যেন পারস্পারিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায় ও এক হয়ে রাষ্ট্র উন্নয়নে চলতে পারে।

গত তিন বছরের তুলনায় এবার বড়দিনের আয়োজনে চাকচিক্য কিছুটা বেশি। গির্জা প্রার্থনা শেষে কীর্তনের পাশাপাশি কেক কাটার আয়োজপন করা হয়। প্রার্থনায় সকল প্রকার রোগমুক্তির পাশাপাশি বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে। একই সাথে দিনটি উপলক্ষে খ্রিস্টান পরিবারগুলোতে কেক কাটার আয়োজনসহ রয়েছে বিশেষ খাবারের আয়োজন করে থাকে।

এদিকে, রাজশাহীর গির্জায় বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী জাঁকজমকপূর্ণ সাজ-সজ্জায় সেজেছে। গোশালা স্থাপন, তাঁরা, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন করে।

এই দিনটিকে নিয়ে রাজশাহীর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জানান, দিনটি উদযাপনের লক্ষ্যে গির্জা গুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বড়দিন উদযাপনের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বেশকিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়েই সবাই আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করেছেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো দেখুন..
এক ক্লিকে বিভাগের খবর