বাগেরহাটে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুড়ল ৮ বাড়ি
পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন ওরফে রুহুল মেম্বর এবং ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। সম্প্রতি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। সোমবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন।
বুধবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া পাল্টাপাল্টি হামলা সন্ধ্যায় ভয়াবহ রূপ নেয়। শতাধিক লোক রুহুল মেম্বর ও তার ভাইদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। আগুনে বাড়িঘরসহ ছয়টি মোটরসাইকেল, ফ্রিজ এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে যায়।
রুহুল মেম্বরের স্ত্রী রজিনা বেগম অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ মোস্তাফিজের নেতৃত্বে হামলাকারীরা বাড়ির সব সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার স্বামী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হতে চায় বলেই আমাদের ওপর এমন হামলা হলো। এখন আমরা সর্বস্বান্ত।
মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠ মাসুম মোল্লা বলেন, রুহুল মেম্বরের লোকজন আমাদের ওপর বারবার হামলা চালিয়েছে। সোমবার রাতে আমাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং কর্মীদের আহত করার পর আমরা থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাদের লোকজন ফের হামলা চালায়।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।