নওগাঁর কুমড়া বড়ি যায় দেশের বাইরেও
শীত মৌসুমে খাবারে মুখরোচক স্বাদ আনতে মাছ-সবজিতে কুমড়া বড়ির প্রচলন দীর্ঘ দিনের। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের মানুষের জনপ্রিয় খাবার এই কুমড়ার বড়ি। শীতের পিঠাপুলির মতো কুমড়া বড়িরও খুব কদর থাকে শীত মৌসুমে। সেই মুখরোচক সুস্বাদু কুমড়া বড়ি যত্নসহকারে তৈরি করছেন নওগাঁর গ্রামীণ নারীরা। সাংসারিক কাজের পাশাপাশি এই বড়ি তৈরি করে বাড়তি টাকা আয় করেন অনেক নারী।
জানা যায়, নওগাঁ শহরের সুলতানপুর মহল্লা, রানীনগর, আত্রাই, মান্দা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী উপজেলার গ্রামীণ নারীরা এ কাজের সঙ্গে জড়িত। সারাবছরই কমবেশি কুমড়া বড়ি তৈরি হয়। তবে শীত মৌসুমে এটার চাহিদা বেশি থাকে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে হাটে-বাজারে নানা ধরনের শীতের সবজি ওঠে। এই সময় গ্রামাঞ্চলের খাল-বিল ও নদীতে পানি কম থাকায় বিভিন্ন ধরনের দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। শীতকালীন এসব সবজি আর খালবিলে পাওয়া দেশীয় প্রজাতির মাছ রান্নাতে ব্যবহার হয় এই কুমড়ো বড়ি। এতে খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। কিন্তু কাজের ব্যবস্থার কারণে অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও সুস্বাদু এই কুমড়া বড়ি তৈরি করতে পারে না। স্বাদে ও মান ভালো হওয়ায় সেই চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় যায় গ্রামীণ নারীদের হাতে তৈরি এই কুমড়া বড়ি। এমনকি যাচ্চে ভারত ও মালোশিযায়।