সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি) ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছে। ৯৭ আসনের মধ্যে মাত্র ১০টি বাদ দিয়ে বাকি সব আসনেই জয় পেয়েছে দলটি। তারা পেয়েছে মোট ভোটের ৬৫.৫৭ শতাংশ।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও দেশ পরিচালনার জন্য জনগণের শক্তিশালী ম্যান্ডেট অর্জন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই ফলাফল সিঙ্গাপুরবাসীর আস্থা ও সরকারের প্রতি বিশ্বাসের প্রতিফলন।”
২০২3 সালে লি সিয়েন লুংয়ের স্থলাভিষিক্ত হওয়া ওং-এর জন্য এটি ছিল প্রথম বড় নির্বাচন। নির্বাচনের আগে তিনি সাবধান করেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি সিঙ্গাপুরকে বড় অর্থনৈতিক চাপে ফেলতে পারে। সে জন্য তিনি দেশকে প্রতিযোগিতামূলক ও উন্মুক্ত রাখার ওপর জোর দেন।
তবে পিএপির বিপুল বিজয়ের মধ্যেও কিছু বিতর্ক দলটির ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছে। যেমন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং এবং তার ভাই লি সিয়েন ইয়াংয়ের পারিবারিক বিরোধ, পরিবহনমন্ত্রীর দুর্নীতির মামলায় জেল হওয়া, এবং সংসদ সদস্যদের ব্যক্তিগত কেলেঙ্কারি।
বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি (ডব্লিউপি) তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ নেয় এবং তারকা প্রার্থীদের সামনে আনে, তবে তারা আগের মতোই ১০টি আসনেই সীমাবদ্ধ থাকে।
নির্বাচনের দিন পিএপি-সমর্থকেরা সাদা পোশাকে ও দলের লাল বজ্রচিহ্ন পতাকা হাতে উদযাপনে অংশ নেন। এক তরুণ ভোটার বলেন, “পিএপি সরকারেই দেশ ভালো চলে এসেছে তাই তাদের ওপর আস্থা আছে।”