বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

নির্বাচন হলে জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রাহমান

অনলাইন ডেঙ্ক / ১০ দেখেছেন:
আপডেট : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

স্বাধীনতার পর ভারতকে খুশি করতে সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগ রক্ষী বাহিনী গঠন করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, বিডিআররের ষড়যন্ত্রের নামে এক সাথে এত গুলো আর্মি অফিসার হত্যা করা হয় আর্মিকে দুর্বল করার জন্য। কারণ একটাই ভারত। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের জন্য রাজনীতি করে না। কারণ আওয়ামী লীগ শত শত মায়ের বুক খালি করেছে। দেশের স্বাধীনতা ভারতের কাছে বিকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশের ক্ষমাতয় আসতে পারবে না। আগামীতে নির্বাচন হলে জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রাহমান। আওয়ামী লীগ শাসনামলে দেশের অর্থনীতির অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশের পাট কলে একটার পর একটা আগুন লাগানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমাজতন্ত্রের নামে জাতীয় করণ করে সকল কলকারখানার নাটবল্টু পর্যন্ত খুলে বিক্রি করে ফেলেছিল। দেশের অর্থনীতিকে শেষ করে দিয়েছে। আব্দুস সালাম আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ফেরত আনতে বিএনপির ঠেকা পড়েনি। বিচারের পরই আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে। আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল দলকে নিয়ে নির্বাচন হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ ভারতের দল। গত ১৫ বছর ভারত ঠিক করে দিয়েছে এদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে। এখনও তারা আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।’ তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারের ভাষ্য বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে। আসল সত্যি হলো- বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল না। বিএনপি চাইলে ৫ আগস্টের পর সকল আন্দোলনকারী দলকে সাথে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে পারতো। কিন্তু করেনি। আমাদের বিশ্বাস ৩ মাস, ৬ মাস, একবছর পর যখনই নির্বাচন দেন না কেন; বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।’
সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় বিএনপির কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, ত্রাণ ও পূর্ণবাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সাবেক সভপতি তোফাজ্জাল হোসেন তপু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুনসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া। পরিচালনায় ছিলেন নির্বাচন কমিশনার তাজমুলতান টুটুল। মোহনপুর উপজেলা বিএনপির এই সম্মেলনে ৬টি ইউনিয়নের ৪২৬ জন কাউন্সিলর ভোটার ছিলেন। তিনটি সাংগঠনিক পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ১১ জন নেতা। সন্ধ্যায় ঘোষিত ভোটের ফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে বিএনপি নেতা শামিমুল ইসলাম মুন, সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুব আর রশিদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বাচ্চু রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। ব্যালট পেপারে ভোটের মাধ্যমে এই তিনটি পদে নেতা নির্বাচন করা হয়।এদিকে সকাল থেকে ভোটের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও সম্মেলনের উদ্বোধন হয় দুপুর ১ টায়। সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযুদ্ধা আবু সাইদ চাঁদ। এসময় কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডি.এম জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মোহনপুর উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ৬টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৪২৬ জন। ৩টি দলীয় পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ১১জন প্রতিদ্বন্দ্বী। তারা হলেন, সভাপতি পদে মোহনপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়্যারম্যান,জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সামাদ আনারস প্রতীক, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়্যারম্যান ও উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি শামীমুল ইসলাম মুন রিক্সা প্রতীক। সাধারণ সম্পাদক পদে বাকশিমইল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপি আহবায়ক মাহবুব অর রশিদ ছাতা প্রতীক, ধুরইল ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজিম উদ্দীন চেয়ার প্রতীক, উপজেলা যুবদল সাবেক নেতা, বিএনপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ ফুটবল প্রতীক, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম শাহ্ রুপুল আম প্রতীক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো দেখুন..
এক ক্লিকে বিভাগের খবর