বাগমারায় বিল মাললী উন্মুক্ত ঘোষণায় মৎস্যজীবীদের উচ্ছ্বাস
রাজশাহীর বাগমারায় মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের বিল মাললী বিল মৎস্যজীবীদের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘ ষোলো বছর যাবৎ বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন প্রামানিক, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বাবুর ক্যাড়ার বাহিনী ও চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবিরসহ প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন বিলটি তাদের কব্জায় রেখেছিলেন। তারা নানা অজুহাতে বিলটি দখলে রাখতে চায়। পূর্বে বিলে মাছ ধরতে গেলে প্রকৃত কার্ডধারী মৎস্যজীবীদের, মারধর, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি, মাছ ধরার উপকরণ কেড়ে নেয়া হতো। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটায় একযোগে বিলধারের মৎস্যজীবীরা মৎস্য আহরণ করতে থাকে। মৎস্যজীবী আফজাল হোসেন, তাজ উদ্দিন, মহসিন আলী, আনিসুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মন্টু রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, সোহেল রানাসহ অনেকেই ১৬ ডিসেম্বর মাছ ধরতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। জিয়া সাইবার ফোর্স রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বাগমারা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির অন্যতস সদস্য আসাদুল ইসলাম জানান, বিলধারের প্রায় সহস্রাধিক কার্ডধারী মৎস্যজীবীরা নানা ভাবে বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। এতোদিন তাঁরা অধিকার বঞ্চিত ছিলেন। এখন জমির মালিকরা ধান চাষ করবেন। মৎস্যজীবীরা মাছ ধরে, পেট পুরে নুন ভাত খেতে পারবেন। গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির অধ্যাপক বাবুল হোসাইন বলেন, মৎস্যজীবীদের হকের প্রতি আমাদের গুরুত্ব দেয়া উচিত। তারা মাছ ধরতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সূত্র জানায়, আওয়ামী দখলতার এবং কিছু সুবিধাবাদীরা সময় প্রার্থনা করে কালক্ষেপণের চেষ্টায় লিপ্ত। অভিযুক্ত গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ওই বিলে আমার কোন শেয়ার নেই। ১৮ বছর আওয়ামী লীগের কতিপয় লোক ভোগ দখলে রয়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে খোঁজ খবর রাখতে হয়। বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিল মাললীবিল আনুষ্ঠািক ভাবে সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণার কথা ছিল। মৎস্য চাষীরা সময় চাইছে।