বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে বিজিবিকে মেরে ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

অনলাইন ডেঙ্ক / ৩ দেখেছেন:
আপডেট : সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মারধর করে দুটি ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে গোদাগাড়ী রাজাবাড়ী এলাকা থেকে মহিষ দুইটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতে বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের রাজাবাড়ী বিশেষ ক্যাম্পের শাহ আলম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।

বিজিবির দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মো. মুকুল (৫৫), তাঁর ছেলে হাসান (২৮), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. আক্কাস (৫৯), তাঁর জামাতা মো. জীবন (৩৩), মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. বাবলু (৫০), তাঁর ছেলে মো. ডলার (৩২), একই গ্রামের নয়ন (৩৫), বিজয়নগর গ্রামের হামিদ (৩৫), মো. জনি (৩৫), তাঁর ভাই মো. টনি (৩৩), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. জনি (৪০) ও পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামের সিজার (৩০)। এরা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা জায়, জনি ও টনি উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই টুনুর ছেলে। আক্কাস দেওপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। বাবলু ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। ঘাটিয়াল বাবলু চোরাপথে ভারতীয় গরু-মহিষ আনার ব্যবস্থা করে। নয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। পবা থেকে যাওয়া সিজারও ঘাটিয়াল। হুন্ডি কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নাজিরপুর গ্রামের গরু-মহিষের ব্যবসায়ী মুকুল ভারত থেকে চোরাপথে দুটি মহিষ এনে বাড়ির পাশের জঙ্গলে রেখেছিল। খবর পেয়ে বিজিবির সদস্যরা সেখানে অভিযানে যান। তখন মুকুল কৌশলে পালিয়ে যান। মুকুলকে না পেলেও বিজিবির সদস্যরা মহিষ দুটি জব্দ করে রাজাবাড়ী বিশেষ ক্যাম্পে আসছিলেন।

আসার পথে রাজাবাড়ী এলাকায় বিএনপির এই নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে বিজিবি সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং মহিষ নিয়ে যেতে বাধা দেন। তারা হুমকি দেন যে মহিষ ছেড়ে না দিলে বিজিবি সদস্যদের লাশ ফেলে দেওয়া হবে। একপর্যায়ে তারা বিজিবি সদস্যদের মারধর করে টেনেহিঁচড়ে মহিষ দুটি ছিনিয়ে নেন।

গোদাগাড়ী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, মামলায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মহিষ দুটি উদ্ধার করা যায়নি। এ মামলায় কোনো আসামিকে আটক করা যায়নি।

ওসি জানান, পুলিশের এলআই শাখা বিজিবির মামলা তদন্ত করে। তদন্ত কর্মকর্তাকে বলা হয় ‘লিয়াজো ইন্সপেক্টর-বিজিবি’ সংক্ষেপে এলআই বিজিবি। তারা বিষয়টি তদন্ত করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো দেখুন..
এক ক্লিকে বিভাগের খবর