মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
পরবর্তীত পরিস্থিতির পর আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন: ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সন্ধ্যার মধ্যে ১৪ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস মোহনপুরে শ্রমিক দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি গাজীপুরে গাড়িতে হা’ম’লা’য় আ’হ’ত হাসনাত আবদুল্লাহ ভোটের ময়দানে নতুন সমীকরণ: বিএনপি-জামায়াতের প্রস্তুতি জোরদার রুয়েট কর্মকর্তা মামলার আসামি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে গ্রেপ্তার, পুলিশের কাছে হস্তান্তর জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ নি’ষি’দ্ধ ও বিচারের দাবীতে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ রাজশাহীতে দুই পশুর হাট ঘিরে উত্তেজনা, চরম দুর্ভোগে গরু ব্যবসায়ীরা জুলাই আন্দোলন শেষ হয়নি, বিরোধী শক্তি হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে: প্রেস সচিব মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

বাগমারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকিট বাণিজ্য

অনলাইন ডেঙ্ক / ৪২ দেখেছেন:
আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

রাজশাহীর বাগমারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনো থামেনি টিকিট বাণিজ্য। টিকিট বাণিজ্য করে পকেটে তুলছেন লাখ লাখ টাকা। টিকিট বাণিজ্যের মূল হোতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস সহকারি রইচ উদ্দীন ও বহিঃবিভাগের টিকিট বুথের দায়িত্বে থাকা আনিছুর রহমান নামের এক মালি।

টিকিট বিক্রিয় দায়িত্বে নির্ধারিত কোন লোক না থাকায় অফিস সহকারি রউচ উদ্দীন কৌশলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মালিকে দিয়ে টিকিট বিক্রয় করে থাকেন। বহিঃবিভাগের ডাক্তার দেখাতে আসা লোকজনকে টিকিট বুথ থেকে টাকার দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। টিকিটের নির্ধারিত ৩ টাকা মূল্য থাকলেও প্রতি টিকিট থেকে ৫ টাকা করে নেয়া হয়। এভাবেই প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি নেয়া হয় রোগীর নিকট থেকে। অনেক রোগী জানেন না টিকিটের সঠিক মূল্য। যারা জানে তারা টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে বলে খুচরা টাকা নেই। সেকারণে রোগীরা ৫ টাকা করে দিতে বাধ্য হয়।

৩ টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় বলে প্রতিদিন উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করেন। প্রতিদিন প্রায় সব মিলিয়ে ৫০০-৬০০ জন রোগী বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। টিকিট বিক্রির অতিরিক্ত টাকা কোথায় যায় তার কোন খোঁজ নেই। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগের টিকিট নিতে গেলে মঙ্গলবার এক রোগীর সাথে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয় টিকিট বুথে থাকা মালি আনিছুরের। রোগীর সাথে এমন ঘটনায় বিব্রত হয়ে পড়ে অন্য রোগীরা। টিকিট বুথ থেকে তাকে সরানোর দাবী করেন রোগীরা। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে বুথের দায়িত্ব পালনকারী আনিছুর রহমান জানান, আমি প্রতিদিনের টিকিট বিক্রির টাকা অফিস সহকারি রউচ উদ্দীনের কাছে জমা দিই। তিনি কি করে সেটা আমার জানা নেই। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারি রউচ উদ্দীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ৩টাকা করে লিখে দিয়েছি প্রতি টিকিটের মূল্য। কেন বেশি নেয় সেটা জানিনা।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাফিউল্লাহ নেওয়াজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেছি। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা নেয়া হয় কি না সেটা আমার জানা নেই। রোগীর সাথে খারাপ আচরণ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ওই সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাহিরে ছিলাম। তবে কি কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি জানিনা। কিছু ঘটে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো দেখুন..
এক ক্লিকে বিভাগের খবর