রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০১:৩৪ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
পরবর্তীত পরিস্থিতির পর আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন: ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সন্ধ্যার মধ্যে ১৪ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস মোহনপুরে শ্রমিক দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি গাজীপুরে গাড়িতে হা’ম’লা’য় আ’হ’ত হাসনাত আবদুল্লাহ ভোটের ময়দানে নতুন সমীকরণ: বিএনপি-জামায়াতের প্রস্তুতি জোরদার রুয়েট কর্মকর্তা মামলার আসামি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে গ্রেপ্তার, পুলিশের কাছে হস্তান্তর জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ নি’ষি’দ্ধ ও বিচারের দাবীতে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ রাজশাহীতে দুই পশুর হাট ঘিরে উত্তেজনা, চরম দুর্ভোগে গরু ব্যবসায়ীরা জুলাই আন্দোলন শেষ হয়নি, বিরোধী শক্তি হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে: প্রেস সচিব মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

অনলাইন ডেঙ্ক / ৪৭ দেখেছেন:
আপডেট : শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার (০৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্র্বতী সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দেন। এসব কমিশনকে ৯০ দিনে মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ৩০ ডিসেম্বর ছিল প্রতিবেদন জমা শেষ দিন। এরপর গতকাল শনিবার সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, এ ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যমত পৌঁছাতে একটি বৈঠক শুরু হবে। সেই বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলো রাজি থাকলে এ আলোচনা পবিত্র রমজান মাস পর্যন্ত চালিয়ে নেওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
গায়েবি মামলা ব্যাপারে সুপারিশ : ভুয়া/গায়েবি মামলায় অনিবাসী/মৃত/নিরাপরাধ নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অপরিহার্য করার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। গতকাল শনিবার পুলিশ সংস্কার কমিশনের গ্রেপ্তার, তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত বিষয়ক কমিশন এ সুপারিশ করেছ। এদিন দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পুলিশ সংস্কার কমিশন তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেয়। সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, ভুয়া/গায়েবি মামলায় অনিবাসী/মৃত/নিরাপরাধ নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য করতে হবে। অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা দেওয়ার অপচর্চা পরিহার করতে হবে। কোনো পুলিশ সদস্য যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কাউকে এধরনের মামলায় হয়রানি করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত মিডিয়ার সামনে কাউকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না। সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, অভিযান পরিচালনা করার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের কাছে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম ও ভিডিও রেকর্ডিং ডিভাইসসহ ভেস্ট/পোশাক পরিধান করতে হবে। রাতের বেলায় (সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয়ের মধ্যবর্তী সময়) গৃহ তল্লাশি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট/স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি/স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া থানায় মামলা রুজু তথা এফআইআর গ্রহণ ও তদন্ত কঠোরভাবে সার্কেল অফিসার বা পুলিশ সুপার কর্তৃক নিয়মিত তদারকি জারি রাখতে হবে। কেইস ডায়েরি আদালতে দাখিল করে আদালতের আদেশ ব্যতীত কোনোক্রমেই এফআইআর বহির্ভূত আসামি গ্রেপ্তার করা যাবে না।
জনপ্রশাসন সংস্কারে সুপারিশ : মন্ত্রণালয়গুলোকে যুক্তিসংগতভাবে হ্রাস করে সরকারের সব মন্ত্রণালয়কে মোট ২৫টি মন্ত্রণালয় ও ৪০টি বিভাগে পুনর্বিন্যাস করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। একইসঙ্গে সব মন্ত্রণালয়কে সমপ্রকৃতির পাঁচটি স্বল্প মেয়াদি গুচ্ছে বিভক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার মন্ত্রিসভার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিস্তারিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। সংস্কার সুপারিশে পুরনো চারটি বিভাগের সীমানাকে চার প্রদেশে বিভক্ত করে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা চালু, কুমিল্লা ও ফরিদপুর নামে নতুন দুটি বিভাগ, ‘নয়াদিল্লির মতো’ কেন্দ্র শাসিত ‘রাজধানী মহানগর সরকার’ গঠন করে প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে পুনর্বিন্যাসের জন্য সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে একটির বদলে তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন এবং উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশে আনার মতো প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংস্কার প্রতিবেদনকে মোট ১৭টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে আছে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের আচরণগত সংস্কার, নাগরিক পরিষেবা উন্নয়নে জনপ্রশাসন, জনপ্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত পুনর্গঠন (মন্ত্রণালয়/দফতর পুনর্বিন্যাসকরণ), সিভিল সার্ভিসের কাঠামো ও প্রক্রিয়াগত সংস্কার, জনপ্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সংস্কার, জনপ্রশাসনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সংস্কার, জনপ্রশাসনের নৈপুন্য বিকাশ ও সক্ষমতার উন্নয়ন, কর্মদক্ষ জনপ্রশাসনের জন্য সংস্কার, জনপ্রশাসনে কার্যকারিতার লক্ষ্যে সংস্কার, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সার্ভিস সংস্কারে বিশেষ সুপারিশমালা, বাংলাদেশ শিক্ষা সার্ভিস সংস্কারে বিশেষ সুপারিশমালা, পার্বত্য এলাকার জনপ্রশাসন সংস্কারে বিশেষ সুপারিশ, জনপ্রশাসনে নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে সংস্কার প্রস্তাব।
মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা কমিয়ে গুচ্ছ করা : বর্তমানে মোট ৪৩টি মন্ত্রণালয় এবং ৬১টি বিভাগ স্বল্প মেয়াদি রয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলোকে যুক্তিসংগতভাবে হ্রাস করে কমিশন সরকারের সব মন্ত্রণালয়কে মোট ২৫টি মন্ত্রণালয় ও ৪০টি বিভাগে পুনর্বিন্যাস করার সুপারিশ ককরা হয়েছে। একইসঙ্গে কমিশন সব মন্ত্রণালয়কে সমপ্রকৃতির পাঁচটি স্বল্প মেয়াদি গুচ্ছে বিভক্ত করার সুপারিশ করেছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগকে নিম্নলিখিত পাঁচটি গুচ্ছে বিন্যস্ত করা যেতে পারে বলেও প্রস্তাব করা হয়েছে— (ক) বিধিবদ্ধ প্রশাসন; (খ) অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য, (গ) ভৌত অবকাঠামো ও যোগাযোগ; (ঘ) কৃষি ও পরিবেশ (ঙ) মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সংস্কার : বর্তমানে দেশে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশন রয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই অধিকতর কার্যকর করার জন্য সংস্কার করা প্রয়োজন বলে কমিশন জানিয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়, সবচেয়ে প্রাচীন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা। এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা গেলে নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। উপজেলা পরিষদ যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে চালু করা হয়েছিল, তা পুরোপুরি কার্যকর করা হয়নি। একে কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। জেলা পরিষদকে কখনোই জনপ্রতিনিধিত্বশীল করা যায়নি। অধিকাংশ জেলা পরিষদ তহবিলের দিক থেকেও দুর্বল অবস্থায় আছে। উপজেলা পরিষদকে শক্তিশালী করা হলে জেলা পরিষদের প্রাসঙ্গিকতা কমে যাবে। সুতরাং, জেলা পরিষদকে বাতিল করা সমীচীন হবে।
প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা : দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সরকারের কার্যপরিধি সুবিস্তৃত হওয়ার ফলে বর্তমান প্রশাসনিক ও স্থানীয় সরকার কাঠামো যথেষ্ঠ প্রতীয়মান হয় না বলে মনে করছে কমিশন। এককেন্দ্রিক ব্যবস্থায় মন্ত্রণালয় পর্যায়ে খুঁটিনাটি বহু কাজ সম্পাদন করা হয়। ক্ষমতার প্রত্যর্পণ (ডেলিগেশন) বিবেচনায় দেশে বিশাল জনসংখ্যার পরিষেবা ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করার লক্ষ্যে দেশের পুরনো চারটি বিভাগের সীমানাকে চারটি প্রদেশে বিভক্ত করে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। এর ফলে এককেন্দ্রিক সরকারের পক্ষে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার সুযোগ হ্রাস পাবে। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা শহরের ওপর চাপ হ্রাস পাবে। এদিকে রাজধানী ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা ও পরিষেবার ব্যাপ্তির কথা বিবেচনায় রেখে নয়া দিল্লির মতো ফেডারেল সরকার নিয়ন্ত্রিত ‘ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট’ বা ‘রাজধানী মহানগর সরকার’ গঠনেরও সুপারিশ করেছেন তারা। অন্যান্য প্রদেশের মতোই এখানেও নির্বাচিত আইন সভা ও স্থানীয় সরকার থাকবে। ঢাকা মহানগরী, টঙ্গী, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে ‘ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট’- এর আয়তন নির্ধারণ করা যেতে পারে।
জেলা পরিষদ বাতিল ও পৌরসভা শক্তিশালীকরণ: কমিশন চায় স্থানীয় সরকারের একটি ধাপ হিসেবে জেলা পরিষদ বহাল থাকবে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কখনোই নাগরিকদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হননি। কিছু জেলা পরিষদ বাদে বেশিরভাগেরই নিজস্ব রাজস্বের শক্তিশালী উৎস নেই। ফলে বেশিরভাগ জেলা পরিষদ আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। সেহেতু জেলা পরিষদ বাতিল করা যেতে পারে। একইসঙ্গে পৌরসভার গুরুত্ব বিবেচনায় স্থানীয় সরকার হিসেবে একে অধিকতর শক্তিশালী করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। পৌরসভা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন ওয়ার্ড মেম্বারদের ভোটে। কারণ চেয়ারম্যান একবার নির্বাচিত হলে মেম্বারদের আর গুরুত্ব দেয় না।
ডিসি’র মামলা গ্রহণের ক্ষমতা : জেলা কমিশনারকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সি আর মামলা (নালিশি মামলা) প্রকৃতির অভিযোগগুলো গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এতে বলা হয়েছে, তিনি অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য উপজেলার কোনও কর্মকর্তাকে বা সমাজের স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে সালিশী বা তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারবেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হলে থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটি আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আকার : সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে আকারে ছোট করা যুক্তিসঙ্গত মনে করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মুখ্য সচিব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নয়, বরং একাধিক বিভাগের সমন্বয়ের জন্য থাকা উচিত বলে জানিয়েছে কমিশন। কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সুপারিশের নির্বাহী সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছিল। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় হিসেবে কাজ করে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিপরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আলাদাভাবে মুখ্য সচিব (প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি) পদ থাকায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির মধ্যে ঐকমত্য ও সমন্বয়ের অভাবে কখনো কখনো সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে আকারে ছোট করা যুক্তসঙ্গত হবে বলে কমিশন মনে করে। আরও বলা হয়, অপরদিকে, মন্ত্রণালয়গুলোর সংখ্যা কমানো হলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে একাধিক বিভাগ সংযুক্ত হবে। ফলে একই মন্ত্রীর অধীনে একাধিক বিভাগের সম্বয়ের জন্য একটি করে মুখ্য সচিব পদ সৃষ্টি করা যাবে। বর্তমান ‘সিনিয়র সচিব’ পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের এ পদে পদায়ন করা যেতে পারে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে এরূপ নিয়ম রয়েছে। বর্তমান ‘সিনিয়র সচিব’ নামকরণ বাদ দেওয়া যেতে পারে। কারণ, এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। আবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও সচিব পদের কোনো বেতন গ্রেড বা স্কেল থাকবে না। সরকার তাদের বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি নির্ধারণ করবেন বলেও প্রতিবেদনে জানিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো দেখুন..
এক ক্লিকে বিভাগের খবর