বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন

৪৩ বছরে স্বামীকে ১২ বার বিয়ে করে ১২ বার বিচ্ছেদ দিয়েছেন এক নারী

অনলাইন ডেক্স / ৩০ দেখেছেন:
আপডেট : সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

গত চার দশক ধরে এক ছাদের তলায় থাকেন প্রৌঢ় দম্পতি। শান্তিতেই বাস করেন সেই সুখী দম্পতি, এমনটাই দাবি প্রতিবেশীদের। তবুও ৪৩ বছরের বিবাহিত জীবনে স্বামীকে ১২ বার বিচ্ছেদ দিয়েছেন প্রৌঢ়া, আবার ১২ বার বিয়েও করেছেন।

মধ্য ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ঘটেছে এ ঘটনা। বার বার বিচ্ছেদের পরেও আবার তারা বিয়ে করেন। দু’তিন বছর একসঙ্গে থাকার পর আবার বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে উপনীত হন দু’জনে। ১৯৮১ সালে প্রথম বিয়ে করেছিলেন এই দম্পতি। তারপর প্রথম তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় ১৯৮৮ সালে। তারপর বিয়ে-বিচ্ছেদ, বিয়ে-বিচ্ছেদ করেই গত ৪৩ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন।

অস্ট্রিয়ায় বিবাহবিচ্ছেদের শিকার নারীদের জন্য একটি কল্যাণমূলক স্কিম রয়েছে। এই স্কিমের আওতায় সদ্য বিবাহবিচ্ছেদের শিকার হওয়া কোনো নারী যদি আবেদন করেন, তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে এককালীন সহায়তা হিসেবে ২৮ হাজার ৪০৫ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার ২২৪ টাকা) প্রদান করা হয়।

অস্ট্রিয়ার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জার্মানির একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বর্তমানে ৭৩ বছর বয়সী ওই নারী যতবার তার স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ নিয়েছেন, প্রতিবারই সরকারি সহায়তার জন্য আবেদন করেছেন এবং তাকে তা প্রদান করা হয়েছে। নিজের ১১ তম বিচ্ছেদ পর্যন্ত সরকারি সহায়তার সেই অর্থ গ্রহণ করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে গত ৪৩ বছরে তিনি এবং তার স্বামী উপার্জন করেছেন ৩ লাখ ৪২ হাজার ডলারেরও (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ কোটি ৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা) বেশি।

২০২২ সালে সর্বশেষ বিবাহবিচ্ছেদের পর সরকারি সেই স্কিমের কর্মকর্তাদের সন্দেহ জাগে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে এসব তথ্য জানতে পারেন। আরও জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী পেশায় একজন ট্রাকড্রাইভার। বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি বেশিরভাগক্ষেত্রেই বলেছেন যে স্বামী সংসারে যথেষ্ট সময় দেন না। সাধারণত স্বামী যখন ট্রাক নিয়ে দীর্ঘ ট্রিপে যান, সে সময়ই বিচ্ছেদের আবেদন করেন ওই নারী।

সত্য উদ্ঘাটনের পর আদালত ওই নারীর বিচ্ছেদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। প্রতারণামূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ভিয়েনা পুলিশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো দেখুন..
এক ক্লিকে বিভাগের খবর