তানোরে উচ্ছেদ আর আতঙ্কে দিন কাটছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৪০ পরিবারের
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ৪০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের উচ্ছেদ আতঙ্কে দিন কাটছে। প্রায় ৪৫ বছর ধরে এসব পরিবার উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) গুড়ইল মৌজার একটি অর্পিত সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। এসব জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে, এলাকার একটি প্রভাবশালী ভুমিগ্রাসী মহল। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করতে গত শুক্রবার দিব্যগত মধ্যরাতে পাড়ার রিপন মুর্মু নামের এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ নিয়ে রিপন মুর্মু তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশ এখানো মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি।
অভিযোগে মোসারুল হক দুখু, বাবুল মৃধা বাবু, মিজান সরকার, জুলফর, নাজমুল, বিপ্লব, শরিফুল ইসলাম ভুলু ও ভাসা নামের আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ভুলুর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ। অন্যদের বাড়ি তানোরের গুড়ইল গ্রামে। তাঁদের মধ্যে বাবুল মৃধা বাবু ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকেরা দাবি করে বলেন, গুড়ইল মৌজার ১০ একর ৩০ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন শিবদাস ভট্টাচার্য নামের এক ব্যক্তি ষাটের দশকে রাজশাহীর দারুশা দাঙ্গার পর শিবদাস ভট্টাচার্য ভারতে চলে যান। তারপর তাঁর জমি অর্পিত সম্পত্তি হয়ে যায়। প্রায় ৩৩ বিঘা জমির মধ্যে ১০ বিঘায় তাঁরা ৪০টি পরিবার ৪৫ বছর ধরে বসবাস করছে। তাঁরা জানান, তাঁদের বসতভিটা দখলে নিতে শরিফুল ইসলাম ভুলু আদালতে মামলা করেছিলেন। ও মামলায় রায় আসে তাঁদের পক্ষে। এরপর ভুলু আবার আপিল করেন। সেই মামলা এখনো চলমান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম ভুলু বলেন, ০০০০তিনি যাননি তার বর্গাদারেরা তাদের জমি দখলে বাধা দিয়েছ বলে শুনেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোসারুল হক দুখু বলেন, ‘শরিফুল ইসলাম ভুলু ভালো লোক। আমরা তাঁর মাঠের জমি চাষাবাদ করি। আদিবাসীদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি দাবি করেন, সব জমির মালিক এখন শরিফুল ইসলাম ভুলু। ভারতে যাওয়া ব্যক্তির অর্পিত সম্পত্তি তাঁর নামে কীভাবে হলো জানতে চাইলে মোসারুল বলেন, ‘শিবদাস ভারতে যাওয়ার আগে বিনিময় করেছিলেন। যার সঙ্গে তিনি বিনিময় করেন, তাঁর কাছ থেকে শরিফুল জমি কিনেছেন। ভুল করে জমি অর্পিত সম্পত্তি হয়েছিল। এ বিষয়ে তানোর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।