রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ ব্র্যাক অফিসে জানালার গিরিল কেটে দুধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। চোরের দল অফিসের নাইটগাডের ঘরে সিটকি লাগিয়ে ঘন্টাব্যাপী অফিসের বিভিন্ন রুমের তালা ভেঙ্গে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্প্রতিবার (২ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে। তবে অফিসের চুরি বিষয়ে কথা বলতে রাজী হননি শাখা ব্যবস্থাপক গোরাঙ্গ কুমার।
নাম জানাতে অনিচ্ছুক ব্র্যাক অফিসের এক কর্মচারী জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অফিসের কাজকর্ম শেরে নাইটগার্ড ব্যতীত অফিস বন্ধ করে সবাই চলে যান। সকালে নাইটগার্ড তার ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার জন্য দরজা খুলতে গেলে দরজা বন্ধ পান। দরজা খুলতে না পেরে তিনি বিষয় অফিসের কর্মকর্তাদের জানান।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারী) সকালে কর্মকর্তারা অফিসে এসে চুরির বিষয়টি জানতে পারেন এবং নাইটগার্ডকে তার রুম থেকে বের করে নিয়ে আসেন।
চোরের দল যেভাবে ব্র্যাক অফিসের প্রাচীর টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং জানালার গিরিল কেটে চুরি সংগঠিত করেছে তা অত্যন্ত রহস্যজনক বলে অনেকেই মনে করেছেন। অফিসের ভেতরে চারটি মোটরসাইকেল ও একাধিক কম্পিউটার থাকলেও সেগুলোতে হাত দেয়নি চোরের দল।
তারা অফিসের হিসাবরক্ষকের ঘরের চারটি তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে টাকা রাখার ভোল্ট ভেঙ্গে টাকা নিয়ে গেছে। কত টাকা নিয়ে গেছে সে ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাননি শাখা ব্যবস্থাপক গোরাঙ্গ কুমার।
জানতে চাইলে শাখা ব্যবস্থাপক গোরাঙ্গ কুমার বলেন, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা না বলে কোন তথ্য দিতে পারবো। তবে সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিককে বার বার আহবান জানিয়েছেন।
ব্র্যাক অফিসে এমন চুরির ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েছেন অন্যান্য এনজিও’র কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। অনেকেই নিরাপত্তার আশঙ্কা করছেন।
এলাকার সচেতন মানুষ মনে করেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্থ লেনদেনের এনজিও হচ্ছে ব্র্যাক। এমন বড় প্রতিষ্ঠানে কেনই বা সিসি ক্যামারার ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। অফিসের নিরাপত্তা ও তদরকি করার জন্য সিসি ক্যামারা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
বাগমারার ভবানীগঞ্জ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক গোরাঙ্গ কুমার চুরির বিষয়ে তথ্য না দেয়ায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি। ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য কর্মকর্তাদের না পাওয়া বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত শাখা ব্যবস্থাপকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা থানায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।