বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪২ অপরাহ্ন

এবেলা ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার

অনলাইন ডেঙ্ক / ৮ দেখেছেন:
আপডেট : রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫

ছাত্রাবাস থেকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার লাশ ঝুলছিল। তিনি আত্ম’হত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ ও রুয়েট কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম মেহেদী হাসান (২২)। তিনি রুয়েটের আরবান প্ল্যানিং (ইউআরপি) বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবার নাম নূর ইসলাম। বাড়ি রংপুর শহরের কোতোয়ালি থানার বনানীপাড়া মহল্লায়। মেহেদী হাসান থাকতেন রাজশাহী নগরের ফুদকিপাড়া মহল্লার এবেলা ছাত্রাবাসে। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ছাত্রাবাসটির নবম তলার তার নিজ কক্ষে ঝুলছিল তিনি।

নগরের বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ জানান, রাত ২টার দিকে তারা খবর পান। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ তদন্ত করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। রাতেই পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হওয়। সকালে তারা রাজশাহী পৌচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

রুয়েটের ছাত্র উপদেষ্টা রবিউল ইসলাম সরকার জানান, ‘দুই সিটের একটি রুমে থাকতেন মেহেদী। তার রুমমেট নেই। রুমে একাই ছিলেন মেহেদী। ছাত্রাবাসের অন্য শিক্ষার্থীরা দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে লাশ উদ্ধার করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর থেকে মেহেদীর মা তাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। এভাবে সারাদিন গড়িয়ে গেলে রাত ১২টার দিকে তিনি ছাত্রাবাসের অন্য এক ছাত্রকে ফোন করে মেহেদী আছেন কি না তা দেখতে বলেন। তখন শিক্ষার্থীরা দেখেন যে মেহেদীর রুম ভেতর থেকে লাগানো। এরপর তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মেহেদীর লাশ দেখেন।’

ছাত্র উপদেষ্টা জানান, মেহেদীর ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্নাতক শেষ করে বেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এক বিষয়ে ফেল থাকার কারণে মেহেদী যেতে পারেননি। এটা নিয়ে তার ডিপ্রেশন ছিল। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এই ডিপ্রেশনের কারণে তিনি আত্ম’হত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো দেখুন..
এক ক্লিকে বিভাগের খবর